রাষ্ট্র ও সমাজের বড় শত্রু ’’মাদক ও মাদক ব্যবসায়ী” প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩ ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের লাল-সবুজের সোনার বাংলাদেশ।সরকারের উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।এই লক্ষ্য অর্জনে সর্বাধিক ভূমিকা পালন করবে দেশের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম। মূলত তাদের কাঁধেই ভর করে দেশ গতিশীলভাবে এগিয়ে যাবে। তাই আমাদের বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে সম্পদে পরিণত করতে হবে। তাদের যথোপযুক্তভাবে কাজে লাগাতে পারলেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। এ বিষয়টি অনুধাবন করেই সরকার তরুণ প্রজন্মের দিকে বিশেষ দৃষ্টিপাত করে আসছেন। উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে জনশক্তিতে পরিণত করতেও বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। সেই যুগান্তকারী পরিকল্পনা ও তরুণ প্রজন্মের অগ্রগতির পথে অন্তরায় হয়ে আছে মাদক। মাদকের ছোবলে তরুণ যুবসমাজ যেভাবে অপরাধের দিকে ধাবিত হচ্ছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সোনার বাংলাকে শ্মশান বাংলায় পরিণত করতে মাদক এক ভয়ংকর অভিশাপ। মাদকাসক্তের সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের মধ্যে সপ্তম। শিশু-কিশোর-যুবক-বৃদ্ধা-নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে মাদকের ভয়াল থাবার শিকারে পরিণত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশের গবেষকরা বলছেন, ৯৯ লাখ মাদকাসক্ত সারা বাংলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ তরুণ। মোট জনগোষ্ঠী ১৬ কোটির অনুপাতে এ সংখ্যা কতটা ভয়াবহ, তা সহজেই অনুমেয়। বাংলাদেশের মোট গ্রামের সংখ্যা ও মাদকাসক্তের সংখ্যার যদি অনুপাত বের করা হয়, তা হলে তা রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো বিষয়। ৬৮ হাজার গ্রামের প্রতিটিতে গড়ে ৩১০ জনের ওপরে মাদকাসক্ত পাওয়া যাবে। গবেষকরা বলছেন, মাদকাসক্তদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। মাদকাসক্তদের ৯১ শতাংশই কিশোর, তরুণ ও যুবক বয়সি। বাংলাদেশের কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাবন্দি মানুষের মধ্যেও ৩৫ শতাংশের বেশি মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ড্রাগ হলো এমন বস্তু, যা গ্রহণ করলে ব্যক্তির এক বা একাধিক কার্যকলাপের পরিবর্তন ঘটায়। একটা ড্রাগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নির্ভর করে তার রাসায়নিক গঠন বৈশিষ্ট্যের ওপর। এই ড্রাগ অপব্যবহারের কারণে রোগী তার রোগের জন্য ওষুধের গুণাগুণ পাওয়ার বদলে হয়ে যায় বিষ। তাই অনেক সময় বিষ স্বল্পমাত্রায় প্রয়োগ করলে হয় ওষুধ, কিন্তু বেশি মাত্রা বা অযথা গ্রহণ করলে হয় বিষাক্ত বা শরীরকে নিস্তেজ করে, মৃত্যু ডেকে আনে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ অপব্যবহারের মাধ্যমে মাদকাসক্তির সূচনা হয়। অভ্যাস থেকে আসক্তি। বাংলাদেশে একসময় মাদক হিসেবে ফেনসিডিল বহুল প্রচলিত থাকলেও ১৯৯৯ সাল থেকে ক্রেজি ড্রাগ ইয়াবা ধীরে ধীরে ওই জায়গা দখল করে নেয়। একবিংশ শতাব্দীর সভ্যতার বিষফোঁড়া, দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র মিয়ানমার বাংলাদেশের কাছে সমুদ্রসীমা হারানোর প্রতিশোধ হিসেবে ইয়াবা অস্ত্র ব্যবহার করে বাংলাদেশের সর্বনাশ ঘটাতে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ইয়াবার উৎপাদন ও বাজারজাত পুরোপুরি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা বিজিবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সংসদ ও দেশটির শান প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা, মংডু ও বুথিডং এলাকার কাস্টমস, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি ইয়াবা কারবারে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৬টি স্থানে ৪৯টি কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। মাদক পাচার প্রতিরোধে ইয়াবা কারখানা এবং এর মালিকদের একটি তালিকা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ। পরিতাপের বিষয় হলো, মিয়ানমার ওই তালিকার ব্যাপারে কোনো সাড়া দেয়নি এবং ইয়াবা বন্ধে কোনো ধরনের সহযোগিতাও করছে না। বরং ইয়াবা যে মিয়ানমার থেকে আসছে, এটিও তারা মানতে চায় না। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার প্রাণপণ সংগ্রাম করছে। কিন্তু মাদক সে প্রচেষ্টার পথে শুধু বড় হুমকিই নয়, বরং এটি অর্থনীতিতে ভয়ংকর রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে ক্রমবর্ধমান হারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেমন বড় হয়েছে, তেমনি মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। ফলে মাদক বিক্রির পরিধিও বেড়েছে। মাদক কারবার দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মাদক আমদানির পেছনে ব্যয়িত একটি বিরাট অঙ্কের অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। মাদক কারবার অবৈধ হওয়ার কারণে এর মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ নিরাপদ রাখতে কারবারিদের দেশের বাইরে টাকা পাচারের প্রবণতা লক্ষণীয়। বাংলাদেশে মাদকদ্রব্যের অবৈধ অর্থনীতির আকার এখন বেশ বড়। যদি শুধু বড় কারবারি হিসেবে ধরা হয়, তা হলে সে রকম মাদক কারবারি আছে পাঁচ হাজারেরও বেশি। অন্যদিকে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে প্রায় ৩০ লাখ মাদক কারবারি রয়েছে। অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন থাকায় এ খাত থেকে অর্জিত অর্থ অন্য জায়গায় বিনিয়োগ হয় না। মাদকের বিস্তার লাভের সঙ্গে শরীর ও সম্পত্তির বিরুদ্ধে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাওয়ার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। মাদকের সঙ্গে চুরি, ছিনতাই, হত্যা, ডাকাতির মতো অনেক অপরাধ জড়িত। মূলত মাদক কেনার অর্থ জোগাড় করতে গিয়েই কিশোর-তরুণরা ব্যাপকভাবে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এ সুযোগে মাদক কারবারি, সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্র খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা কাজে তাদের ব্যবহার করছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাম্প্রতিক সময়ের তথ্যানুযায়ী ৮০ শতাংশ খুনের সঙ্গে মাদকাসক্তরা জড়িত। মাদকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। প্রশাসনিক, আইনগত, বিচারিক ও সামাজিকভাবে মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধকে জিরো টলারেন্স বলে। তথ্যমতে, স্থানীয়ভাবে যারা মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত, তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। যাদের আটক করা হচ্ছে, তারা মাদকসেবী ও সাধারণ খুচরা বিক্রেতা। যারা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন বা মূল পাচারকারী, তারা গ্রেফতার হচ্ছেন না। তাদের কেউ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন আবার কেউ রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকায়ই আছেন। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো কোনো এলাকার পুলিশ সদস্যদের যোগাযোগ থাকায় লোক দেখানো অভিযানে সাধারণ মানুষকে করা হচ্ছে হয়রানি আর মাদক ব্যবসায়ীরা আড়ালে লুকিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষের ধারণা, বাংলাদেশে মাদকের বিস্তারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একশ্রেণির কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী একটি গ্রুপের হাত আছে। তারাই মাদক ব্যবসার মূল নিয়ন্ত্রক। তাদের আইনের আওতায় আনা না গেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। জাতীয় সংসদে মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন পাস হয়েছে। ইয়াবা, কোকেন, হেরোইন পরিবহন, কেনাবেচা, কারবার, সংরক্ষণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, হস্তান্তর, সরবরাহ ইত্যাদি অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন। মাদক বহনের পরিমাণ অনুযায়ী সাজা কমবেশির বিধান রাখা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনে অর্থ বিনিয়োগ, সরবরাহ, মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিলেও একই ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। মাদক নির্মূলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করে আসছেন। দৃশ্যত এই নির্দেশের সঠিক বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যাদের ওপর মাদক নির্মূলের দায়িত্ব, তাদের কাজের গাফিলতি কারো কাছে অজানা নয়। মাদক ব্যবসায়ী এবং সরাসরি মাদক ব্যবসা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ততা পুরোনো কথা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৩ সালে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে মোট ২১ হাজার ৮১২টি। মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৩২ জনকে। সর্বনাশা মাদকের কারণে যুবসমাজ যে শুধু মেধাশূন্য হচ্ছে, তাই-ই নয়, এ মাদকাসক্তদের মধ্যে মনুষ্যত্বও লোভ পাচ্ছে। সম্প্রতি আমাদের দেশের সংবাদপত্রে প্রতিদিন যেসব খুন, সন্ত্রাস, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার ঘটনাসহ নানা ধরনের অপরাধের যেসব খবর ছাপা হচ্ছে, তার সব ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে দেশের তরুণ যুবসমাজের একটি অংশ।অনেক অনেক গ্রাম মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি।তাদের ভয়ে সাধারন মানুষ মুখ খুলতে ভয় পায়। তাই সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াল ছোবল হতে রক্ষা করতে মাদক নির্মূলের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। সেজন্য মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। মাদকের চুনেপুঁটি ব্যবসায়ীদের ধরে মাদক নির্মূল অসম্ভব। মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তখন মাদকের আমদানি এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। পাশাপাশি আদালতে ঝুলে থাকা মামলাগুলো যেন দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সে বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, অধিকাংশ আসামি খালাস হয়ে যায় আর নয়তো জামিনে বের হয়ে বহাল তবিয়তে মাদকের ব্যবস্থা পরিচালনা করে। এসব বিষয় আমলে নিয়ে এর সমাধানে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। সর্বোপরি, মাদকের বিরুদ্ধে আইনের সর্বাত্মক প্রয়োগ নিশ্চিত করা আবশ্যক। পাশাপাশি সামাজিকভাবে মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে সভা-সেমিনার আয়োজন করে সবাইকে সচেতন করতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘মাদকের করাল গ্রাস থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে বর্তমান সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। সরকার মাদক বিরোধী আইন বাস্তবায়নে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িতরাসহ ইয়াবা সেবনকারি, মাদক পাচারকারি, মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবনকারি-সবার বিরুদ্ধেই মাদক বিরোধী আইনের প্রয়োগ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কে কোন দলের, কোন মতের, কোন পথের সেটি দেখছে না, দেখা হবেও না। দলমত নির্বিশেষে যারা এটির সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে এর প্রতিরোধে সবাইকে পারিবারিকভাবে সচেতন হতে হবে। মাদকমুক্ত দেশ গড়তে হলে নিজের ঘর থেকে আন্দোলন শুরু করতে হবে। আর দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুললেই মাদকমুক্ত দেশ গড়ে তোলা সম্ভব।মাদকের প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলাবাহীনিও জিরো টলারেন্সে আছে ।আমরা বিজয়ী জাতি, আমরা যদি মাদকের বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হই ও ঘরে ঘরে মাদক বিরোধী আন্দোলনে শামিল হই তবে আমরা মাদকের বিরুদ্ধেও জয়ী হব।মাদকের এই অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসারও আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ও পুলিশের চলমান অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় অভিশপ্ত মাদকের বিস্তার কোনোভাবেই মানা যায় না। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম, দেশের মূল্যবান সম্পদ। মাদকের ভয়াল ছোবলে তারা হচ্ছে মেধাশূন্য ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জনশক্তিতে পরিণত করতে হলে অবশ্যই তাদের মাদকমুক্ত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে দল-মত-নির্বিশেষে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে রেহাই দেওয়া যাবে না। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এ ধারা অব্যাহত রাখা ও আরো গতিশীল করতে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশের যথাযথ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। -মোঃ জয়নুল আবেদীন,সাংবাদিক ও কলামিষ্ট SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: