উচ্ছেদ-ধর্ষণের হুমকি, বক্সার তামান্নার আকুতি, ‘প্লিজ আমাকে বাঁচান’ প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২ বক্সার তামান্নার ফেসবুক থেকে নেওয়া সময় সংবাদ রিপোর্ট: বাংলাদেশের নারী বক্সার তামান্নাকে বাসা থেকে উচ্ছেদ ও ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে একটি ডেভেলপার কোম্পানির ভাড়াটিয়া দুর্বৃত্তরা।সময় সংবাদ 24 এর প্রতিবেদকের সঙ্গে ফোনালাপে ভীতগ্রস্ত ও কান্নাকণ্ঠে বক্সার তামান্না বলেন, ‘আমরা ঢাকার কচুক্ষেত ক্যান্টনমেন্টের স্থানীয় বাসিন্দা। আমাদের বাবা-দাদাদের সময় থেকেই এখানে আছি আমরা। আরও পাঁচ বছর আগে পাঁচ কাঠা জমিতে একটি বাড়ি বানানোর জন্য একটি বিল্ডার্স কোম্পানির সঙ্গে আমরা চুক্তিবদ্ধ হই। কিন্তু তাদের দেওয়া সময় অনুযায়ী তারা কাজ করেনি। এ মাসের ২৭ তারিখে তাদের সময় শেষ হয়।এটা নিয়ে আমরা থানায় যাই। কিন্তু থানার ওসিকে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে তারা। ওসি সাহেবও কোনো হেল্প করেননি। তিনি সরাসরি সন্ত্রাসীদের হয়ে কথা বলেছেন। আমরা স্থানীয় কমিশনারসহ আরও গণ্যমান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কেউ হেল্প করেননি। এর আগে যখন সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, আমরা থানায় গিয়েছিলাম মামলা করতে। কিন্তু তারা কোনো মামলা নেয়নি। ওসি তখন বলেছিল, আমরা আপনাদের কোনো মামলা নেব না। আপনাদের কোনো কথাও শুনব না। আপনারা এখান থেকে চলে যান।আরও তিন থেকে চার দিন আগে আমার বাসায় ২০-৩০ জন অ্যাটাক করেছিল। সে সময়ও আমরা থানায় ফোন দেই। কিন্তু তারা আসেনি। পরে ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ার পর তারা এসে আমাদের সেদিনের মতো হেল্প করে।কিন্তু আজকে তারা আবারও আমার বাসায় অ্যাটাক করেছে। আমার বাসার গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকছে। সন্ত্রাসীরা আমার বাসার সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেছে। তিনতলায় উঠে জোরে জোরে দরজা ধাক্কা দিয়ে বলতেছে, আজ তোদের ভোগ করব, বের হও। এমন সিচুয়েশনে আমরা ৯৯৯ এ ফোন দেই। থানা থেকে বলতেছে আমরা আসতেছি। অথচ আমার বাসা থেকে দেখা যায় থানা।’এ প্রতিবেদকের সঙ্গে ফোনালাপের সময়ও বাসার নিচে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছিল বলে জানান বক্সার তামান্না। এসময় তিনি বাঁচার আকুতি জানিয়ে বলেন, প্লিজ আমাকে বাঁচান আপনারা।এ বিষয়ে ভাষানটেক থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, ভাই আমাদের কাছে যতবার আসছে আমরা হেল্প করেছি। কিন্তু তারাই তো ঝামেলা মেটাচ্ছে না। জায়গাজমির বিষয়। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। দুই পক্ষ মিলে সমাধান না করলে আমরা কী করতে পারি?এছাড়া কথিত বিল্ডার্স কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগের বিষয়ে ওসি বলেন, কখনোই না। এটা কোনো কথা হলো। ভাই বিষয়টা আপনারাও বোঝেন, আমরাও বুঝি। জায়গাজমির বিষয়। আর এটা খোদ আমাদের ডিসি স্যারও জানেন। গত কয়েকদিন আগে তামান্নার ভাই আসছিল। তাকে বললাম যে আপনারা একটা দিনতারিখ ঠিক করেন। আমরা বসে দেখি কি করা যায়। কিন্তু তারাই তো আর আসল না। SHARES খেলাধুলা বিষয়: